দুই তিন মাসেই হয়ে যান লাখপতি, অনলাইন ক্যারিয়ারের মাধ্যমে! কতখানি সম্ভব?

Spread the love

একটা কমন ট্রেন্ড লক্ষ্য করছি যে, সবাই শেষ ভরসা হিসেবে চেষ্টা করছেন অনলাইনে কিছু একটা উপার্জন করতে অথবা ফ্রিল্যান্স করতে। ব্যাপারটা কেমন একটা হাস্যকর বিষয় হয়ে যায় অর্থাৎ আপনি সর্বশেষ সব কিছুতে যখন ফেইল করছেন তখনই আসলে অনলাইনকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেঁছে নিতে আসছেন।

আপনি ভুলে যাচ্ছেন যে আপনি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কোথায় কোন চাকরি না পেয়ে চলে আসছেন অনলাইনে। তো বলতে পারেন যে বাংলাদেশে চাকরি নেই বা চাকরি করব কোথায় থেকে। আমরা যদি ইন্টারন্যাশনালি একটি পরিসংখ্যান ফলো করি পুরো বিশ্বেই চাকরি এভাবে এমন সহজে পাওয়া যাচ্ছ না অর্থাৎ পুরো বিশ্বে বলতে যে কোন দেশে চাকরি পাওয়াটা খুবই একটা কঠিন কাজ হয়ে গেছে। আগামী দশ বছরের মধ্যে চাকরির বাজার ( ট্রেডিশনাল চাকরি) আরও সংকুচিত হবে ফ্রীল্যান্স প্রোফেশনালের আধিক্যের কারনে। আর যখন আপনি অনলাইনে কাজ করতে চাচ্ছেন আপনি আসলে কম্পিট করছেন পৃথিবীর সবার সাথে অর্থ্যাৎ অন্যান্য দেশের অনেকেই কিন্তু চেষ্টা করছে অনলাইন কাজ গুলো করতে। আপনি এখানে সফল হতে হলে যদি আপনার মধ্যে সেই যোগ্যতা টুকু না থাকে তাহলে আপনি কিভাবে হবেন। আসলে এটা একটা খুবই খুবই দুঃখজনক ব্যাপার যে সবাই সর্বশেষ অস্ত্র হিসেবে বা সর্বশেষ পথ হিসেবে অর্থাৎ যখন সব জায়গা থেকে ব্যর্থ হলাম তখন সবাই চলে আসছি  আমরা কিভাবে অনলাইন থেকে আয় করব এ নিয়ে জানতে। খুবই সিলি একটা সিলি একটা ব্যাপার।

আসুন আমরা  ডাটার মাধ্যমে ব্যাপারটা বুঝার চেস্টা করি। কারন, Data হচ্ছে পৃথিবীর সব কিছুর কেন্দ্রুবিন্দু অর্থাৎ ডাটার তথ্য-উপাত্ত এগুলোর উপর ভিত্তি করে আমরা ডিসিশনে আসি যে আমরা কোন একটা কিছু করবো কি করবো না, ভাল হবে নাকি মন্দ হবে। আমরা সব সময় Factually সব কিছু করতে পছন্দ করি। আসুন ফ্যাক্টচুয়ালি ব্যাপারটাকে একটু কল্পনা করে দেখি।

আপনি যদি ট্রেডিশনাল স্কুলে পড়ালেখা করে থাকেন তাহলে দেখা যাবে যে, শিশু শ্রেণী নামে একটা শ্রেণী থাকে তারপর আমরা ক্লাস ওয়ান, ক্লাস টু এভাবে পড়ালেখা করি। আর যারা কেজি, প্লে প্রি- স্কুল করেছেন তারা তো আর বেশি পড়েছেন। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আমরা  দশম শ্রেণী পর্যন্ত পাশ করার জন্য ১১টা বছর যদি শিশু শ্রেণীকেও আমরা কাউন্ট করি অতিবাহিত করি। ধরেও যদি  নেই যে, আমরা শিশু শ্রেণীকে বাদ দিলাম তাহলে দেখা যাচ্ছে দশটা বছর ক্লাস টেন মানে এসএসএসি পাশ করে একজন মানুষ। এরপর আমরা একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণী তারপর আমরা এইচএসসি পাশ করি, এই সময়টাতে প্রায় ১৩টা বছর সময় লেগে যায়। এরপর আমরা একটা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হই অথবা কেউ যদি Pass কোর্স করেন ৩ বছর লেগে যেতে পারে অর্থাৎ ৩-৪ বছর ভার্সিটি পিরিয়ড । আমি ৪ বছর যেটা ম্যাক্সিমাম যদি তা ধরি তাহলে এখানে আপনি ১৬-১৭ টা বছর সময়  অতিবাহিত করার পরও আপনি কোন একটা কাজ পাচ্ছেন না।

যারা ফ্রিল্যান্স করতে চাচ্ছেন বা অনলাইন ক্যারিয়ার করতে চাচ্ছেন তারা সবাই যে কনসেপ্ট নিয়ে এখানে আসেন যে ৩-৪ মাস ধরে একটা কাজ শিখে তারপর সেই কাজটা করে আমরা অনেক অনেক টাকা আয় করবো। আসলে ব্যাপরটা কি এত সহজ আপনি ১৭ বছর চেষ্টার পরে কোনো জব পাচ্ছেন না, তাহলে কিভাবে আপনি আশা করেন যে প্রপার ওয়েতে কাজটা না শিখে just ৩-৪ টা মাস পরে অনলাইন থেকে ভাল আয় করবেন যেখানে আপনি কম্পিট করছেন পুরো বিশ্বের সাথে – হাস্যকর না ব্যাপারটা। মাথায় রাখতে হবে ব্যাপার গুলো আসলে ভাই নাইলে ফিউচার কালো অন্ধকারে ঢাকা থাকবে।  এখানে আসলে রঙ্গিন বিজ্ঞাপন, অনেক অনেক যারা স্বপ্ন দেখাচ্ছে সেগুলো দেখে আমরা প্রভাবিত হয়ে আসলে অনেক কিছু করে ফেলছি, ব্যাপারটা আসলে সেই রকম কোন ভাবেই নয়। আসলে আপনার সেই ১৭ বছরের স্কিলটা এমন হতে হবে যেটাতে এই সময়ের স্কিলটা গড়ে তুলবেন।

নরমালি অনলাইনে ক্যারিয়ার আমরা ফ্রিল্যান্স স্টাইলে করতে পারি অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং একধরনের একটা উম্মুক্ত (মুক্ত) পেশা যেখানে আপনারা একটা পার্টিকুলার স্কিলের উপর স্কিলড হবেন যেটাকে আমরা Hard স্কিল বলি পাশাপাশি সফট স্কিল থাকতে হবে অর্থাৎ কমিনিকেশন স্কিল প্লাস অন্যান্য স্কিল এগুলো হয়ত আমি আরো সামনে লেখালিখি করব ইনশা আল্লাহ। তারপরই গিয়ে আপনি ঐ কাজটা করতে পারছেন , তো এটা আমাদের মাথায় রাখা উচিত।

এটা Food for thought একটা লিখা ছিল সবার জন্য আমার উদ্যোক্তা উৎসবে পাওয়া প্রশ্নের উপর এবং বিভিন্ন সময়ে এই বিষয়ে পাওরা প্রশ্নের উপর ভিত্তি করে। আমি মূলত লিখেছি শর্টকাট যারা খুজেন ইনিয়ে বিনিয়ে তাদের জন্য। অর্থাৎ আপনারা সবাই যে চলে আসছেন  সহজে ভাল করতে তারা কি আসলে ভাল করবেন বা তারা কি আসলে ভাল করছেন একটা শর্ট পিরিয়ড অব  টাইম পর আয় করতে চাচ্ছেন এটা ভেবে তাদের জন্য এই লেখা। যারা অনলাইনে ক্যারিয়ার করতে চান তাদের প্রথমে ভাল একটা   স্কিল ডেভেলপ করতে হবে। এখন ক্ষেত্র বিশেষে একাধিক স্কিলও লাগে!  স্কিল ডেভেলপ করতে পার্টিকুলার বিষয়ের উপরে ১-২ বছর সময় লেগে যেতে পারে এই সময়টা আসলে আপনি দিতে পারছেন কিনা এটা মাথায় রাখতে হবে তারপর অথবা হার্ড স্কিল ডেভেলপের পাশাপাশি সফট স্কিল গুলো ভাল করে ডেভেলপ করতে হবে, এরপর হয়ত আপনি অনলাইন  ক্যারিয়ারে ভাল করতে পারেন।

আশা করি ব্যাপার গুলো নিয়ে আমরা ভেবে দেখবো, এবং আমরা সিরিয়াস হবো। সামনে আরো কিছু লিখা থাকবে। আপনাদের  সামনে আবার হাজির হয়ে যাব আমার মনোভাব প্রকাশ করার জন্য। কস্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে।

Posted on 


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

বাংলাদেশ রেলওয়ের অনলাইন টিকেট বুকিং এর বিভিন্ন টিকেট ক্লাস

Spread the love

Spread the loveআজ বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেট কিনলাম অনলাইনে। একটা প্রোগ্রাম এটেন্ড করতে যাব প্লাস কিছু গেস্ট আসবে এই কারনে। তো অনলাইনে টিকেট কিনতে যাবার পর ঘটলো বিপত্তি। কারন আমি নরমালি ৩ টা সিট নিয়ে ধারনা রাখি। শোভন চেয়ার সুলভ আর স্নিগ্ধা তো যখন টিকেট কিনতে


Spread the love

Yoda Style Conditionals ( Yoda Condition) Explained (Bengali/বাংলায়)

Spread the love

Spread the loveআমরা যারা প্রোগ্রামিং কিংবা ডেভেলপমেন্ট করি তাদের অনেকসময় সবকিছু ঠিকঠাকমত কন্ডিশন লেখার পরও দেখা যায় প্রোগ্রাম ভুল বিহেভ করে। এর পিছনে কিন্তু বিশাল একটা কিছুর হাত আছে। আমরা যখন কোন অপারেশন চালাই সেটা যদি ঠিকমত ঘটে তাহলে তাকে প্রোগ্রামিং এর ভাষায় ট্রু কেইস


Spread the love

Life Talks – হাহাকারে ভরা এই জীবন!

Spread the love

Spread the loveআমরা অনেকেই আছি যারা আমাদের এই জিনিসটা নাই ঐ জিনিসটা নাই বলে হা-হুতাশ করি। সবসময় ভাবি আমি কেনো এমন করে জন্মালাম। আমার কেনো সব নাই। একবার ভেবে দেখেছি কি, এই আমি যেই জিনিসটা চাচ্ছি তাই কিন্তু অনেকেই পাচ্ছে না। যেমন ধরুন আপনার একটা


Spread the love